Inspiring Ten Winner Banner
/winners/banner/মুরশিদুল-আলম-ভূঁঞা.png

মানুষের গল্পের মাধ্যমে বিশ্বকে বদলানোর স্বপ্ন যাঁর

মানুষের জীবনগল্প দিয়েই যদি বিশ্বকে একসূত্রে বাঁধা যায়—এই বিশ্বাস থেকেই ২০১৬ সালে তরুণ মুরশিদুল আলম ভূঁঞা প্রতিষ্ঠা করেন ‘টিম ব্যর্থ’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠন ৮১টি দেশের প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষের জীবনে পৌঁছে দিয়েছে অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা আর নতুন আশার আলো।মুরশিদুলের নেতৃত্বে টিম ব্যর্থ মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে তা গল্প আকারে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতীয়তা কিংবা পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে এসব গল্প মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে—আমরা মূলত সবাই একই স্বপ্নপথের যাত্রী।

কোভিড মহামারির সময় যখন গোটা বিশ্বের মানুষ ভয়াবহ মানসিক সংকটে, তখন টিম ব্যর্থ প্রকাশ করে অ্যানথোলজি বুক ‘Fueling Hope’। বইটিতে ১৩ থেকে ৫২ বছর বয়সী সাধারণ মানুষের সংগ্রামের গল্প উঠে আসে, যেখানে হারানোর বেদনা থেকে শুরু করে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর শিক্ষা পাঠককে ছুঁয়ে যায়। কোনো তারকা নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবনের গল্পে লেখা এই বই হয়ে ওঠে আশার আলো ছড়ানোর এক অনন্য উদ্যোগ।

শুধু গল্প নয়, যুবসমাজকে নেতৃত্বে এগিয়ে নিতে টিম ব্যর্থ শুরু করেছে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’। ছয় মাসব্যাপী এই প্রোগ্রামে বিশ্বজুড়ে তরুণ প্রজন্মের পরিবর্তনপ্রত্যাশীরা সমন্বিতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং নেতৃত্ব, টিমওয়ার্ক ও যোগাযোগদক্ষতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে শেখার সুযোগ পাচ্ছেন।মানসিক স্বাস্থ্যসচেতনতা, তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি কিংবা সংস্কৃতির বহুমাত্রিক প্রকাশ—সবকিছুকেই জায়গা দিয়েছে টিম ব্যর্থ। তাদের বিশেষ প্রকল্প ‘Project Unfurl’ বাংলাদেশের ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির অজানা গল্পগুলো সামনে এনেছে। আবার অনলাইন সিরিজ ‘Ichi-go Ichi-e’ সারা বিশ্বের বক্তাদের আলোচনার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে মানসিক সুস্থতার বার্তা। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই মুরশিদুল পেয়েছেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডসহ নানা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। মুরশিদুল এমন একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চান, যেখানে গল্পের মাধ্যমে মানুষ পরস্পরের কাছাকাছি আসবে, কমবে বৈষম্য, বাড়বে সহমর্মিতা।